সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করায় ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর, ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা এ তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১০৯ ধারায় চিফ মেট্টোপলিটিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান রমনা থানাকে এফআইআর মূলে গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
চ্যানেল এস'এর চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, ভাইস চেয়ারম্যান পান্না, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইনুল ইসলাম, সিইও সুজিত চক্রবর্তীসহ সশস্ত্র অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজহার সূত্রে জানা যায়, গণহত্যাকারী, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের উদ্দেশ্যে গত ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষে বক্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে যান।
সংবাদকর্মীদের পরিচয় জানার পর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস ভবনের আশপাশে অবস্থান করা ভাড়াটে সশস্ত্র অজ্ঞাত সন্ত্রাসী সহ প্রধান আসামিরা ওই সংবাদকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক সকালের সময়' এর হাফিজুর রহমান শফিক, বাংলাদেশের আলো'র ইমাম হোসেন ইমন, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের মোহাম্মদ মাসুদ ও মির্জা সোবেদ আলী, আমার বার্তার মনিরুল ইসলাম তারেক, দেশের কন্ঠের জোবায়ের আদনান ও হাফিজুর রহমান, সকালের সংবাদের কামাল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম সবুজ, তদন্ত চিত্রের জিয়াউর রহমান। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আহত সাংবাদিকরা ওই ঘটনায় রমনা থানায় অভিযোগ করতে গেলেও থানা পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করেন। যার কারণে পরবর্তীতে আদালতের স্মরণাপন্ন হন আহত সাংবাদিকরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain